যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ১২০ বন্দিকে মুক্তির সুপারিশ

করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১২০ বন্দিকে মুক্তির সুপারিশ করেছে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। অনুমোদন পেলে দ্রুতই তাদের মুক্তি দেয়া হবে। একইসাথে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার।

সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, প্রতিবছর সরকার বিশেষ ক্ষমার আওতায় সারা দেশের কারাগারে আটক কয়েদীদের নামের তালিকা তৈরি করে তাদের মুক্তি দেয়ার বিষয়টি বাস্তবায়ন করে থাকে। তবে বর্তমানে সারাদেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সাজা বিবেচনায় ১২০ বন্দিকে মুক্তির সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০ বছর সাজা পূর্ণ করেছে এমন বন্দির সংখ্যা ৭৫জন এবং এক বছর পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা ৪২জন আর অসুস্থ ও অক্ষম বন্দির সংখ্যা ৩জন।

অনুমোদন পেলে দ্রুতই তাদের মুক্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশের মত কারা অভ্যন্তরেও প্রাদুর্ভাব রোধে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলর তুষার কান্তি জানান, কারা বাউন্ডারিতে কেউ ঢুকলেই মূল গেট থেকে সাবান দিয়ে হাত-মুখ ধোয়ার পর ভেতরে নেওয়া হচ্ছে। সেইসাথে জুতাও জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করানো হচ্ছে। নতুন বন্দিদের জন্য অভ্যন্তরে ১৪টি নতুন ওয়ার্ড করা হয়েছে। বন্দিদের বাইরের পোশাক খুলে নতুন পোশাক এবং মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। এরপর নতুন ওয়ার্ডে তাদের ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে সাধারণ ওয়ার্ডে দেয়া হচ্ছে। এর বাইরে কারাগারে ভেতর ও বাইরে প্রতিদিনই জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

দেশের অন্যতম বৃহৎ এ কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে কর্মরত আছেন ৫৩৮জন এবং বন্দি রয়েছে এক হাজার ৪২৫জন। বন্দিদের মধ্যে ১৩৬১জন পুরুষ, ৬৪জন নারী এছাড়া মায়ের সাথে অবস্থান করছে ৫ শিশু।

আপনি আরও পড়তে পারেন